17 C
আবহাওয়া
৭:৩৮ পূর্বাহ্ণ - জানুয়ারি ৮, ২০২৫
Bnanews24.com
Home » টিউলিপের বিরুদ্ধে অভিযোগে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সমর্থন

টিউলিপের বিরুদ্ধে অভিযোগে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সমর্থন

টিউলিপ সিদ্দিক ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার

বিশ্বডেস্ক:  বাংলাদেশে আর্থিক দুর্নীতির একটি মামলায় যুক্তরাজ্যের দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের নাম উঠে আসায় তার পদত্যাগের চাপ ক্রমেই বাড়ছে। তবে এই সংকটময় পরিস্থিতিতে টিউলিপের পাশে দাঁড়িয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার।

স্টারমারের মন্তব্য
লন্ডনে এক সংবাদ সম্মেলনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেন, “টিউলিপ যথাযথভাবে স্বাধীন উপদেষ্টার সঙ্গে কাজ করছেন। আমি তার ওপর পূর্ণ আস্থা রাখি।”

টিউলিপের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তের দায়িত্ব রয়েছে ব্রিটিশ সরকারের নৈতিকতা বিষয়ক উপদেষ্টা স্যার লরি ম্যাগনাসের ওপর। তিনি দেখবেন, মন্ত্রীরা তাদের দায়িত্ব পালনে সঠিক আচরণ বজায় রেখেছেন কি না। স্টারমারের মন্তব্যে এই বিষয়টির প্রতিই ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশে দুর্নীতির অভিযোগ
বাংলাদেশে টিউলিপ ও তার পরিবারের চার সদস্যের বিরুদ্ধে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৫ বিলিয়ন পাউন্ড আত্মসাতের অভিযোগে তদন্ত চলছে। এর আগে, ২০২২ সালে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক দলীয় মিত্রের কাছ থেকে উপহার হিসেবে টিউলিপের লন্ডনের একটি ফ্ল্যাট নেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন উঠে।

ডেইলি টেলিগ্রাফ জানায়, ওই ফ্ল্যাটের মালিকানা এবং উৎস নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। টিউলিপ প্রথমে দাবি করেছিলেন, ফ্ল্যাটটি তার বাবা-মা কিনেছেন। পরে জানা যায়, তার বাবা-মা আর্থিক সহায়তা দিয়েছিলেন এক পরিচিত ব্যক্তিকে, যিনি কৃতজ্ঞতাস্বরূপ ফ্ল্যাটটি টিউলিপের নামে হস্তান্তর করেন।

বিরোধীদের দাবি
টোরি এমপিরা এই বিষয়টি তদন্তের দাবি জানিয়ে বলেছেন, ফ্ল্যাটটি আসলে টিউলিপের খালার রাজনৈতিক দলের মিত্রের দেওয়া উপহার। ব্রিটিশ নৈতিকতা বিষয়ক উপদেষ্টার মাধ্যমে বিষয়টি খতিয়ে দেখা উচিত বলে তারা দাবি করেছেন।

ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, দুর্নীতি প্রতিরোধের দায়িত্বে থাকা টিউলিপের বিরুদ্ধে তার খালা শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পত্তি সংক্রান্ত যোগসূত্রের অভিযোগ উঠেছে। ছায়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস ফিলিপও টিউলিপের সম্পদের উৎস ব্যাখ্যা এবং দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।

লেবার পার্টির অবস্থান
লেবার পার্টির ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, টিউলিপের আগের বক্তব্য পরিবর্তন করা হয়েছে এবং বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে ব্যাখ্যা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ লেবার পার্টির অভ্যন্তরে অস্বস্তি সৃষ্টি করেছে।

টিউলিপের নীরবতা
এদিকে রয়টার্সের পক্ষ থেকে টিউলিপের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

টিউলিপ সিদ্দিক বর্তমানে বড় ধরনের রাজনৈতিক সংকটে পড়েছেন, যা ব্রিটিশ রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

বিএনএ,এসজিএন

Loading


শিরোনাম বিএনএ