বিশ্ব ডেস্ক: কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সোমবার(৬ জানুয়ারি) আকস্মিকভাবে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের কয়েকদিন আগে এই পদত্যাগের ঘটনা ঘটল, যা এক সময় কানাডার রাজনীতিতে তার উজ্জ্বল অবস্থানের পতন নির্দেশ করে।
ট্রুডোর এই পদত্যাগ আসে তার নিজ দলের, লিবারেল পার্টির ভেতর ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে। দলের সহকর্মীদের মধ্যে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে বিভক্তি ছিল। সম্প্রতি, ট্রাম্প পুনর্নির্বাচনের পর ঘোষণা দেন যে তিনি কানাডা থেকে আমদানিকৃত পণ্যের উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন। এই ঘোষণার পর ট্রুডো যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতের চেষ্টা করতে মরিয়া হয়ে ওঠেন।
ঘোষণার পরদিনই ট্রুডো দ্রুত মার-আ-লাগোতে গিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করেন। ঐ বৈঠকে, বিভিন্ন গণমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, ট্রুডো ট্রাম্পকে অনুরোধ করেন এই শুল্ক আরোপ না করতে। তিনি বলেন, এটি কানাডার অর্থনীতির ওপর বিপর্যয়কর প্রভাব ফেলবে।
এর জবাবে ট্রাম্প কানাডাকে আমেরিকার ৫১তম রাজ্যে পরিণত করার প্রস্তাব দেন এবং পরবর্তী সপ্তাহগুলোতে ট্রুডোকে ব্যঙ্গ করে তাকে “গভর্নর ট্রুডো” বলে সম্বোধন করেন।
ট্রাম্প শুল্ক আরোপ করতে চাচ্ছেন কানাডার ওপর চাপ সৃষ্টি করতে, যাতে তারা মার্কিন সীমান্তে অবৈধ অভিবাসন বন্ধে আরও সক্রিয় হয়।
ট্রুডোর পদত্যাগের ঘোষণার ঠিক একই দিনে মার্কিন কংগ্রেস ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল অনুমোদনের জন্য প্রস্তুত, যেখানে ট্রাম্পের পুনর্নির্বাচন নিশ্চিত হবে।
লিবারেল পার্টি আগামী বুধবার একটি জরুরি বৈঠকের পরিকল্পনা করেছিল দলীয় বিভেদ মোকাবিলার জন্য। কিন্তু তার আগেই ট্রুডো পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন।
সোমবার সকালে অটোয়ার রিডিউ কটেজে দেওয়া এক ভাষণে ট্রুডো জানান, তিনি প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন। এই পদক্ষেপ কানাডার রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে লিবারেল পার্টিকে দাঁড় করাবে।
বিএনএ, এসজিএন