বিএনএ ডেস্ক : জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন হলে তাদের কোনো আপত্তি নেই। তবে যেনতেন একটি নির্বাচন তারা চান না।
রোববার (৬ জুলাই) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে ‘জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে জাতীয় ঐক্য অপরিহার্য’ শীর্ষক সংলাপে এ কথা বলেন আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। এই সংলাপের আয়োজন করে ফাউন্ডেশন ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ (এফএসডিএস)।
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য থাকবে উল্লেখ করে আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘আমাদের মধ্যে পার্থক্য থাকবে, যেমন আমরা ট্র্যাডিশনাল (গতানুগতিক) নির্বাচনের বিপরীতে পিআর পদ্ধতি চাচ্ছি, স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে চাচ্ছি, এটা আমাদের দলীয় এজেন্ডা, অন্যদেরও এজেন্ডা আছে। সুতরাং প্রতিটি দলের এজেন্ডায় পার্থক্য হলেই বানচালের ষড়যন্ত্র হচ্ছে, নির্বাচন চাচ্ছে না—এগুলো বলাটাই আমি মনে করি ষড়যন্ত্রের একটা অংশ হতে পারে।’
সংলাপে অন্যদের মধ্যে অংশগ্রহণ করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার, আলোকচিত্রী সাংবাদিক শহিদুল আলম, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান, সাবেক সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) নূর উদ্দিন খান, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী, অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী প্রমুখ।
বিএনএ/ওজি/শাম্মী