বিএনএ ডেস্ক : মানুষ মানুষের জন্য,জীবন জীবনের জন্য একটু সহানুভুতি কি মানুষ পেতে পারে না ? এই গানের কথা আমাদের অন্তরকে বিলোড়িত করে। মানুষের বিপদে মানুষ এগিয়ে আসবে। এটাই হওয়া উচিত। সিএনজি অটোরিকশাচালক ইলিয়াছ । শিক্ষাদীক্ষা নেই। কিন্তু আছে মানবিকতা । বিএম কনটেইনার ডিপো’র অগ্নিকাণ্ডে কেঁপেছে সারা দেশ। এর মধ্যে সেই দিন(শনিবার) রাতে ইলিয়াছ হাসপাতালে ছুটেন আহতদের নিয়ে। সীতাকুণ্ড থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।এই দীর্ঘ পথ আর রাত তাঁর অদম্য ইচ্ছাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। বিনা ভাড়ায় আহত রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
তিন সন্তানের জনক ৪৬ বছর বয়সী ইলিয়াছকে ফোন দিয়ে সাংবাদিক পরিচয় দেয়াতে প্রথমে ইতস্তত করে। বলেন, আমি কী কোন অপরাধ করেছি।
আমি বললাম, অপরাধ করতে যাবেন কেন? আপনি যে মহৎ কাজ করেছেন সেই কথা লিখব।
এরপর তিনি বলেন,টাকা পয়সা অনেক কামাইলাম । কিছু করতে পারেনি। মানুষ হয়ে মানুষের জন্য একটু কষ্ট করলাম আর কি। আমার মনে হচ্ছে সারা জীবনে আমি এই একটা কাজ করেছি ।
ইলিয়াছের জন্ম চট্টগ্রামের চন্দনাইশে। এখন সীতাকুণ্ডের ফকিরহাটে থাকেন। সিএনজি রিকশা চালিয়ে কোনভাবে দিনাতিপাত করছেন তিনি।
একটু পরে আবার কলব্যাক তাঁর। বলেন, সারা রাত না ঘুমিয়ে ছিলাম । দিনে ঘুমাচ্ছিলেন । ঘুম থেকে উঠে আপনার ফোন রিসিভ করলাম। প্রথমে আমি ঠাহর করতে পারিনি। যদি কোন আহত রোগীকে মেডিকেলে নেয়ার প্রয়োজন হয় তাহলে আমার এই নাম্বারে ফোন দেবেন।
সাধারণের মঝে কী অসাধারণত্ব সুপ্ত আছে তা ইলিয়াছকে দেখেই বুঝলাম ।
বিএনএ/ ওজি