ঢাকা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবঃ) মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন,যৌক্তিক-অযৌক্তিক আন্দোলনে রাস্তা বন্ধ করা উচিত নয়।
উপদেষ্টা বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর গুলশানে পুলিশ প্লাজা কনকর্ডে নৌ-পুলিশ সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, যৌক্তিক-অযৌক্তিক বিভিন্ন আন্দোলনের নামে রাস্তাঘাট বন্ধ করা হচ্ছে। এতে জনগণ অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে। আমি ছাত্রদের বলবো তারা যেন তাদের দাবিদাওয়াসমূহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানায় এবং আন্দোলনের প্রয়োজনে তাদের নিজস্ব কলেজের মাঠ ব্যবহার করে।
উপদেষ্টা বলেন, নদীমাতৃক দেশ হওয়ায় নদীপথের সার্বিক নিরাপত্তা বিধান, চাঁদাবাজি ও জলদস্যুতা প্রতিরোধ, ইলিশ ও মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ অভিযানসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে যাচ্ছে নৌ-পুলিশ। তিনি বলেন, জনবল ও জলযানের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও তারা আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এসব সমস্যা সমাধানেও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ সংক্রান্ত বিভিন্ন অভিযানে দেখা যায় যে, জাল ও জেলে আটক করা হচ্ছে। কিন্তু কারেন্ট জালের ফ্যাক্টরির মালিক ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে যাচ্ছে। এসব অবৈধ জাল প্রস্তুতকারী ফ্যাক্টরির মালিকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
উপদেষ্টা আরো বলেন, নদীমাতৃক দেশ হওয়ায় বাংলাদেশে নৌ-পুলিশের প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাপ্রাপ্ত আসামিদের বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে, তাদের অনেকেই বাংলাদেশে নেই। তাদের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারির অনুরোধ করা হয়েছে। আর যারা দেশে আছে, তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, উত্তরা পশ্চিম থানাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের ওপর হামলা করে আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় দায়ীদের শনাক্তকরণে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। পুলিশের প্রশিক্ষণে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হচ্ছে। পুলিশ যেন আরো বেশি মানবিক হয় সে বিষয়ে প্রশিক্ষণে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
এসময় পুলিশ মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম বিপিএম, নৌ-পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি কুসুম দেওয়ান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিএনএ,এসজিএন/এইচমুন্নী