27 C
আবহাওয়া
৭:৫৯ অপরাহ্ণ - ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৫
Bnanews24.com
Home » ফেব্রুয়ারিতেই ড. ইউনূসের ভাগ্য নির্ধারণ?

ফেব্রুয়ারিতেই ড. ইউনূসের ভাগ্য নির্ধারণ?

ফেব্রুয়ারিতেই ড. ইউনূসের ভাগ্য নির্ধারণ?

।। বাবর মুনাফ ।।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের ক্ষমতায় আসার পর ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক নিয়ে সবেচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক চমৎকার ছিল। বিশেষ করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্পর্ক ছিল চোখে পড়ার মতো।

ট্রাম্প ও মোদি পরস্পরকে বন্ধু মনে করেন। ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরপরই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী ফ্রান্স সফর শেষ করে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ওয়াশিংটন ডিসিতে পৌঁছাবেন। ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সেখানে থাকবেন। ওয়াশিংটন ডিসিতে ১৩ ফেব্রুয়ারি ট্রাম্প-মোদি ‘দুই বন্ধুর’ বৈঠক হতে পারে। সেই বৈঠকে আলোচনা হতে পারে মিয়ানমারের আরাকান ও বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতি।

ট্রাম্প ও মোদির এই বৈঠকে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সমর্থিত ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রস্থানের বিষয়টিও আলোচনায় থাকবে— এটা অনেকটা নিশ্চিত।

YouTube player

এর আগে গত ২০ জানুয়ারি ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী জয়শঙ্কর। এর দুইদিন পর ২২ জানুয়ারি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াশিংটন ডিসিতে দেশটির নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালজের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। জয় শঙ্কর উভয়ের সঙ্গেই বৈঠকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিশেষ করে সংখ্যালঘুদের নির্যাতন, মৌলবাদীদের উত্থান, জঙ্গিদের কারামুক্তি, সীমান্ত সমস্যা এবং শেখ হাসিনার ভারতে আশ্রয় নেওয়ার প্রেক্ষাপট নিয়ে আলোচনা করেন।

ওয়াশিংটন ডিসিতে ভারতীয় দূতাবাসে সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করকে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালজ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের প্রতি আচরণ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না? জবাবে জয়শঙ্কর বলেন, ‘হ্যাঁ, বাংলাদেশ নিয়ে আমাদের সংক্ষিপ্ত আলোচনা হয়েছে। আমি মনে করি না যে, এ বিষয়ে বিস্তারিত বলাটা সমীচীন হবে।’

প্রসঙ্গত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের আগে ৩১ অক্টোবর বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশের হিন্দুসহ সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের নিন্দা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে একটি টুইট করেন। হিন্দুদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব দীপাবলি’র শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়টি উল্লেখ করে— এর নিন্দা জানান।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জুলাই-আগষ্ট আন্দোলনে শেখ হাসিনাকে দেশত্যাগে বাধ্য করা পরবর্তীতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরসহ বিভিন্ন স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতার জন্য সাবেক প্রেসিডেন্ট জো-বাইডেন ও ড. ইউনূসকে দায়ী করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে বিভিন্ন তথ্য প্রমাণ উপস্থাপন করেছে।

তাছাড়া ২০১৬ সালে মার্কিন নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বি হিলারি ক্লিনটনকে ড. ইউনূসের অর্থ সহায়তা প্রদান এবং নির্বাচনের পর প্যারিসে দেয়া বক্তব্যের বিষয়টিও ট্রাম্প প্রশাসনের নজরে এনেছে আওয়ামী লীগ।

ট্রাম্প জেতার পরে প্যারিসে ২০১৬ সালের ৯ নভেম্বর এইচইসি’র এক সেমিনারে নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনুস বলেছিলেন, ‘ট্রাম্পের এই জয় সূর্যগ্রহণের মতো। কালো দিন আসছে। তা যেন আমাদের গ্রাস না করে, আত্মশক্তিকে দুর্বল না করে দেয়।’ এ বক্তব্য’র পর থেকে ট্রাম্পের সঙ্গে আদায় কাঁচকলায় সম্পর্ক ইউনূসের।

ফলে ২০২৫ সালে ক্ষমতার মসনদে বসে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ওপর শোধ নিতে পারেন Most Unpredictable Leader of the World খ্যাত ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে ট্রাম্পের জয়ের পর শুভেচ্ছাবার্তাও পাঠিয়েছেন ইউনূস। কিন্তু তাতে কি চিড়ে ভিজবে? এটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।

কারণ ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’-এ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ— পেয়েছেন বিশেষ আমন্ত্রণ।

‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’-এ তারেক রহমানের পক্ষে তার মেয়ে ব্যারিস্টার জায়মা রহমান অংশ নিবেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমির খসরু মাহমুদ, তারেক কন্যা জায়মা রহমান এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন।

প্রসঙ্গত, বিএনপি আগামী ৫ আগষ্টের মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে নির্বাচন দাবি করেছে। কিন্তু দ্রুততম সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিরোধীতা করছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রদের রাজনৈতিক প্লার্টফরম জাতীয় নাগরিক কমিটি। তারা সরকারকে দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষমতায় রেখে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি সারতে চায়। ফলে বিএনপির সঙ্গে ড. ইউনুসের সরকারের বিরোধ চরম আকার ধারণ করছে।

এদিকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বিএনপি’র সঙ্গে অতীতের বিরোধ মিটিয়ে রাজনীতিতে ফিরতে চায়। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে পুরো ফেব্রুয়ারি মাসব্যাপী আন্দোলনের কর্মসূচী চালিয়ে যাচ্ছে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কোন অবস্থায় আওয়ামী লীগকে রাজপথে নামতে না দেয়ার হুশিয়ারি দিয়েছে। গণ মামলাও গ্রেপ্তার অব্যাহত রেখেছে। আওয়ামী লীগের মিছিল ও লিফলেট বিতরণ নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট এলাকার পুলিশের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে পুলিশ প্রশাসন থেকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। ফলে বাংলাদেশ এখন একটি অস্থিতিশীল রাজনৈতিক ক্রান্তিকাল পার করছে।

বাংলাদেশের এই রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেই আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ট্রাম্প-মোদির বৈঠক। এই বৈঠকে নির্ধারণ হবে বাংলাদেশ ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের সর্ম্পক কতটা শীতল কিংবা তপ্ত হবে। ফলে পুরো বাংলাদেশের চোখ — এখন ওয়াশিংটন ডিসি’র দিকে।

বিএনএনিউজ টুয়েন্টি ফোর

Loading


শিরোনাম বিএনএ
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ছাত্রশিবিরের ৯ দফা আহ্বান আনোয়ারায় নৌযান মালিক-মাঝিদের প্রশিক্ষণ চট্টগ্রামে ২৪ ঘণ্টায় আ.লীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ৩৪ যৌক্তিক-অযৌক্তিক আন্দোলনে রাস্তা বন্ধ করা উচিত নয়- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা         সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের ওপর বিএনপি কর্মীদের হামলা শিক্ষার সাথে নৈতিকতার সংযোগ না ঘটলে মানুষ হওয়া যায় না-ধর্ম উপদেষ্টা ওয়াশিংটন পৌঁছেছেন ব্যারিস্টার জায়মা রহমান ২০৩০ সালের আগেই একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করতে চায় সরকার-পরিবেশ উপদেষ্টা খুলনার রূপসা নদীতে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত বাংলাদেশকে চার প্রদেশে ভাগ করার সুপারিশ