27 C
আবহাওয়া
৬:৪৫ অপরাহ্ণ - ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৫
Bnanews24.com
Home » যথাযথ সংস্কার করে শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ চায় ঐক্য পার্টি

যথাযথ সংস্কার করে শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ চায় ঐক্য পার্টি

বাংলাদেশ ঐক্য পার্টি

বিএনএ,ঢাকা: স্বাধীনতার ৫৪ বছর পার হলেও সব সরকার দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নত করতে ব্যর্থ হওয়ার পাশাপাশি জাতিকে এগিয়ে নিতে শিক্ষকদের কাজে লাগাতে পারেনি। তাই শিক্ষাক্ষেত্রে যথাযথ সংস্কার এনে শিক্ষা জাতীয়করণ করা উচিত। এতে শিক্ষকরা মানবেতর জীবন থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার পাশাপাশি আত্মসম্মান ফিরে পাবেন। সামগ্রিকভাবে দেশের অগ্রগতিতেও এর প্রভাব পড়বে। যে কারণে পুরো শিক্ষা ব্যবস্থাকে জাতীয়করণের আওতায় আনা এখন সময়ের দাবি।

বাংলাদেশ ঐক্য পার্টির ৫ম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষ্যে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই দাবি জানিয়েছেন দলটির নেতারা।

অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ ঐক্য পার্টির চেয়ারম্যান লে. কর্ণেল (অব.) আবু ইউসুফ যোবায়ের উল্লাহ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে বক্তারা ৫ আগস্ট পরবর্তী রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আগামী নির্বাচন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য সৃষ্টিরও তাগিদ দিয়েছেন।

বাংলাদেশ ঐক্য পার্টির ৫ম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষ্যে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত অনুষ্ঠানে
বাংলাদেশ ঐক্য পার্টির ৫ম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষ্যে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত অনুষ্ঠানে




ইউনেস্কোর পরামর্শ মতো শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে বক্তারা বলেন, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ এই খাতে বরাদ্দ না বাড়ালে প্রিয় মাতৃভূমিকে উন্নত দেশে রূপান্তর সম্ভব নয়। স্কুল কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়, ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে এখনো উন্নত বিশ্বের শিক্ষা ব্যবস্থার মতো পরিবেশ দেয়া সম্ভব হয়নি।
অন্যদিকে উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষা পদ্ধতি প্রণয়ন, শিক্ষকদের উপযুক্তভাবে প্রশিক্ষিত করে তুলতেও কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেই। ফলে দেশ উন্নতির শিখরে পৌঁছতে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।

বক্তারা বলেন, দেশের প্রতিটি পরিবারেই শিক্ষার্থী আছে। শিক্ষা জাতীয়করণ হলে পারিবারিক পর্যায়ে খরচ কমে প্রত্যেক পরিবারই উপকৃত হবে অন্যদিকে শিক্ষকদের বেতনভাতাদি বৃদ্ধি পেয়ে শিক্ষকরাও আন্তরিক হয়ে ভালোভাবে পাঠদান করার ফলে প্রাইভেট-টিউশনির প্রয়োজন হবে না। উন্নত বিশ্বের মতো ক্লাসরুম হবে শিক্ষার্থীদের সবকিছুর সমাধানের জায়গা। এতে উপকৃত হবে গোটা দেশ।

৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব, কর্মীদের অন্যায়-অপকর্মে জড়িয়ে পড়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বক্তারা বলেন, রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব ও নেতাকর্মীরা যদি সৎ, দেশপ্রেম নিয়ে সামনে চলেন তখন পুরো জাতি সে পথে পরিচালিত হবে। কিন্তু অসৎ ও দুর্নীতিপরায়নরা দায়িত্বে থাকলে দেশও সেই পথে হাঁটবে। আর সততা ও দেশপ্রেম নিয়ে চলতে পারলে জাপান, নরওয়ে, সুইডেন কিংবা ডেনমার্কের মত বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব।

বক্তারা আরও বলেন, জাতিগত ঐক্য অর্জনে আমাদের প্রয়োজন এ ধরণের নেতৃত্ব কিংবা দল যারা জাতিকে সত্যিকার অর্থেই উন্নয়নের দিকে ধাবিত করবে। চলমান অসুস্থ উন্নয়ন যা কিনা পরাধীনতাকে আহ্বান করে। ঋণের বোঝায় জাতিকে মাথানত করে থাকতে বাধ্য করে বছরের পর বছর।

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকা রাজনৈতিকদলগুলোর কড়া সমালোচনা করে বক্তারা বলেন, এক এক করে তিনটি দল ও মঈন-ফখরুদ্দিনের নেতৃত্বে সেনা সমর্থিত সরকার গত ৫৪ বৎসর রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসেছে। আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও আলোচিত এক এগারোর সময়ের সরকার কেউই দুর্নীতির বিরুদ্ধে কোন সফলতা দেখাতে পারেনি। বরং দুর্নীতি আরও জেঁকে বসেছে।

রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনের দাবির প্রসঙ্গে বক্তারা বলেন, কোনো দলই ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে নিজেদের ব্যর্থতা যাচাই-বাছাই করে না। এমন কি সফলতা অর্জনের জন্য কোনো পরিকল্পনাও করে না। এদের সবার ভাবনা দেশী-বিদেশী শক্তির সহায়তায় ক্ষমতায় যাওয়া। এ ধরণের আত্মঘাতী মানসিকতা পরিহার না করা গেলে জাতি হিসেবে আমরা বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবো না। আর লুটপাটের রাজনীতি চলতে থাকলে অচিরেই হয়ত বাংলাদেশকে সিকিমের মত ভাগ্য বরণ করতে হবে।

বাংলাদেশ ঐক্য পার্টি’র প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র মুহাম্মদ আবদুর রহীম চৌধুরী’র সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন মুসলিম লীগের সভাপতি জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, গণফ্রন্টের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আকমল হোসেন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ডা. ওয়ালিউর রহমান, বিআইআইটির মহাপরিচালক ড. এম আবদুল আজিজ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. আবদুল্লাহ আল ইউসুফ, নেজামে ইসলাম পার্টির চেয়ারম্যান মাওলানা ওবায়দুল হক, হিন্দু মহাজোটের যুগ্ম মহাসচিব নরেন্দ্রনাথ মজুমদার, ড. জিন বোধি ভিক্ষু, জাতীয় কবিতা মঞ্চের সভাপতি কবি মাহমুদুল হাসান নিজামী, হাফেজ নুর মোহাম্মদ, ইঞ্জিনিয়ার থোয়াই চিং মং শাক, সাইফুদ্দিন মুহাম্মদ এমদাদ, সানজিদা আনোয়ার চৌধুরী প্রমুখ।

বিএনএ,এসজিএন

Loading


শিরোনাম বিএনএ