চট্টগ্রামে আরাফাত ও ২৮ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে নারীর অপহরণ মামলা!
27 C
আবহাওয়া
৫:০২ অপরাহ্ণ - ডিসেম্বর ৩০, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » চট্টগ্রামে আরাফাত ও ২৮ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে নারীর অপহরণ মামলা!

চট্টগ্রামে আরাফাত ও ২৮ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে নারীর অপহরণ মামলা!


বিএনএ ডেস্ক :  আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক তথ্য মন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত এবং চট্টগ্রামের ২৮ জন সাংবাদিকসহ মোট ১০৯ জনের বিরুদ্ধে অপহরণের চেষ্টা, আক্রমণ এবং শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ নিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রচারের অভিযোগে চট্টগ্রামের একটি আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বুধবার কলেজ শিক্ষক হাসিনা মমতাজ মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। আদালত এ অভিযোগটি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।

মামলায় অভিযুক্ত সাংবাদিকদের মধ্যে রয়েছেন দৈনিক আজাদীর শুকলাল দাশ, বাংলাদেশ প্রতিদিনের রিয়াজ হায়দার চৌধুরী ও আজাহার মাহমুদ, সময় টিভির কমল দে, ইনডিপেনডেন্ট টিভির অনুপম শীল, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক, বাংলানিউজ২৪ এর তপন চক্রবর্তী, ফটোগ্রাফার উজ্জ্বল কান্তি ধর, আজাদীর ঋত্বিক নয়ন ও আমিনুল ইসলাম মুন্না, পূর্বদেশের রাহুল দাস নয়ন, প্রতিদিনের বাংলাদেশের সুবল বড়ুয়া, বিএফইউজে নেতা কাজী মহসিন, একুশে টিভির রফিকুল বাহার ও একরামুল হক বুলবুল, সারাবাংলা ডট নেটের রমেন দাশ গুপ্ত; বিডিনিউজ২৪.কমের মিন্টু চৌধুরীও উত্তম সেন গুপ্ত; সমকালের কুতুব উদ্দিন; দীপ্ত টিভির রুনা আনসারি; ডিবিসি নিউজের মাসুদুল হক, বিশ্বজিৎ রাহা; ভোরের কাগজের সমরেশ বৈদ্য, সিপ্লাসের সৌরভ ভট্টাচার্য, রাশেদ মাহমুদ, হামিদউল্ল্যাহ, আয়ান শর্মা এবং রতন কান্তি দেবাশীষ।

এছাড়া, আওয়ামী লীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নুরুল আজিম রনি এবং অন্যান্য ছাত্রলীগ নেতা কর্মীসহ আরও ৫০-৬০ জন অজ্ঞাতনামার বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।

মামলার বিবৃতিতে বাদী অভিযোগ করেন, সাংবাদিকরা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় প্রকৃত ঘটনা গোপন করে মিথ্যা এবং বানোয়াট সংবাদ প্রচার করেছেন। ৪ই আগস্ট বাদী যখন নিউ মার্কেট এলাকায় ছিলেন, তখন সাংবাদিকরা ছবি ও ভিডিও সংগ্রহ করছিলেন। দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে সশস্ত্র আওয়ামী লীগ কর্মীরা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় এবং গুলি ছোড়ে অনেককে আহত করে। শিক্ষার্থীরা গলিতে লুকানোর চেষ্টা করলে, সাংবাদিকরা তাদের মারধর করে এবং আওয়ামী লীগ নেতাদের হাতে তুলে দেয়। সাংবাদিকরা প্রকৃত ঘটনাগুলো রিপোর্ট না করে উদ্দেশ্যমূলক সংবাদ প্রকাশ করেছেন। অভিযুক্তরা বাদীকে অপহরণের চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তিনি কোনোভাবে নিজেকে রক্ষা করতে সক্ষম হন।

মামলার বাদী হাসিনা মমতাজ গণমাধ্যমকে জানান, আমি মামলায় যে সাংবাদিকদের নাম দিয়েছি তাদের সবাইকে আমি চিনি না। এ সাংবাদিকদের নাম আমি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পেয়েছি। সেজন্য তাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

বিএনএনিউজ২৪ডটকম /হাসনা

 

Loading


শিরোনাম বিএনএ