29 C
আবহাওয়া
৮:৪৬ পূর্বাহ্ণ - এপ্রিল ২০, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আদালতে কোন্দল; বন্ধ বিচার কার্যক্রম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আদালতে কোন্দল; বন্ধ বিচার কার্যক্রম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আদালতে কোন্দল

বিএনএ: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ আদালতে আইনজীবী ও কর্মচারীদের কোন্দল ও পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে স্থবির হয়ে পড়েছে বিচার কাজ। বিচারকের সঙ্গে আইনজীবীদের অসৌজন্যমূলক আচরণ, বিচারিক কাজে হস্তক্ষেপ, কর্মচারীদের মারধর, মুঠোফোন ছিনিয়ে নেয়াসহ নানা অভিযোগে আদালতের কর্মচারীরা কর্মবিরতি পালন করছেন।

বুধবার (৪ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে এ কর্মসূচি পালন করছে জেলা বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন। এতে ১০ থেকে ১৫ হাজার বিচারপ্রার্থী সেবা বঞ্চিত হচ্ছেন।

এদিকে কর্মবিরতির প্রতিবাদে দুপুর ১২টার দিকে জেলা আইনজীবী সমিতির নেতা ও সদস্যরা আদালত চত্বরে মিছিল করেন। মিছিলে জেলা জজ শারমিন নিগারের অপসারণের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেয়া হয়। এসব পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির কারণে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কোনো আদালতেই বিচারিক কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়নি।

গত রোববার থেকে আইনজীবীদের নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের-১ বিচারক (জেলা জজ) মোহাম্মদ ফারুকের আদালত বর্জন করেন আইনজীবীরা। আইনজীবী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া বার অ্যাসোসিয়েশন নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের অভিযোগ তুলে এই বিচারকের প্রত্যাহার দাবি করে জেলা আইনজীবী সমিতি।

আইনজীবী সমিতির নেতারা বলেন, ১ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ আদালতের শেষ কার্যদিবস ছিল। ওই দিন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের আদালতে কয়েকজন আইনজীবী বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কয়েকটি মামলা দাখিল করেন। কিন্তু দাখিলে বিলম্ব হওয়ার কারণে ওই আদালতের বিচারক মামলাগুলো গ্রহণ করেননি। আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মামলাগুলো নেয়ার অনুরোধ করলেও বিচারক তা শোনেননি। পরে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সশরীর ওই বিচারকের এজলাসে গিয়ে মামলাটি নেয়ার জন্য অনুরোধ করেন। তখন বিচারক তাঁদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ ও আইনজীবীদের নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ ওঠে।

অভিযোগের বিষয়ে মোহাম্মদ ফারুক বলেন, ১ ডিসেম্বর তার আদালতে পাঁচটি সিআর মামলার শুনানি শেষে বাদীর জবানবন্দি নিয়ে মামলাগুলো অনুসন্ধানের জন্য পাঠান। নামাজ ও দুপুরের খাবার শেষে আবার আদালতে উঠি। নিয়মানুযায়ী সব শেষ করি। বিকেলে এজলাসে দুই থেকে তিন আইনজীবী নতুন করে মামলা নিতে চাপ সৃষ্টি করেন। তবে তাঁদের নিয়ম অনুসরণ করে মামলা জমা দেয়ার পরামর্শ দিয়ে এজলাস থেকে নেমে যাই। কারণ, আইনানুযায়ী সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে বিচারকের এজলাসে ওঠার আগেই আদালতে মামলা দাখিল করতে হয়। কিন্তু বিকেল চারটার দিকে আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক খাস কামরায় এসে আমার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।

আদালতের কর্মচারীদের কর্মবিরতির জন্য জেলা জজ শারমিন নিগারকে দায়ী করছেন আইনজীবী সমিতির নেতারা। সমিতির সভাপতি তানভীর ভূঁইয়া বলেন, আইনজীবী সমিতি ও আইনজীবীদের নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর আদালত বর্জন করেছেন আইনজীবীরা। এক মাস হলেও বিষয়টির কোনো সুরাহা হয়নি। জেলা জজের খাস কামরায় বসে কর্মচারীরা কর্মবিরতি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর পেছনের মূল নায়ক জেলা জজ শারমিন নিগার। আইনজীবীরা জেলা জজ শারমিন নিগার, বিচারক মোহাম্মদ ফারুক ও নাজির মমিনুল হকের অপসারণ দাবি করেন। সমিতির সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানও একই দাবি জানান।

অভিযোগের বিষয়ে কথা বলার জন্য জেলা জজ শারমিন নিগারের কার্যালয়ে গেলে তিনি কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। জেলা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল বলেন, সকালেই কর্মবিরতি স্থগিতের জন্য কর্মচারীদের চিঠি দিয়েছেন জেলা জজ স্যার। চিঠিটি আইনজীবী সমিতির কাছেও পাঠানো হয়েছে।

তবে জেলা বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শরীফ বলেন, ‘তিন শতাধিক কর্মচারী অনির্দিষ্টকালের জন্য এ কর্মবিরতি পালন করছেন।

বিএনএ/এ আর

Loading


শিরোনাম বিএনএ