বিএনএ ঢাকা: করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় আগামি সোমবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন হতে যাচ্ছে দেশ।শনিবার(৩ এপ্রিল) দুপুরে লকডাউনের সিদ্ধান্ত আসার পরই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকানগুলোতে ভিড় করতে থাকে সাধারণ মানুষ। লকডাউন হলে নিত্যপণ্যের দাম বাড়তে পারে এমন আশঙ্কায় দোকানে ভিড় করছেন তারা।
বেশির ভাগ মানুষ সংসারের জন্য প্রয়োজনীয় পণ্য—চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজ ও আলু কিনছেন। কেউ আবার একসঙ্গে বাড়তি পরিমাণ পণ্য কিনে ঘরে ফিরছেন।অনেকই আবার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মজুদ শুরু করেছেন। পাশাপাশি শপিংমলগুলোতেও লোকজনের প্রচন্ড ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, দুপুরে সাধারণত এমন ভিড় দেখা যায় না। লকডাউনের ঘোষণার পর থেকে দম ফেলার সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে না। দোকানে ক্রেতাদের প্রচুর ভিড়। কেউ এক, দুই কেজি পণ্য নিচ্ছে না, সবাই পাঁচ, দশ কেজি করে পণ্য নিচ্ছে। কেউ কেউ আবার বেশিও নিচ্ছেন।
ক্রেতারা বলছেন, আসলে গত কয়েকদিন ধরে যেহারে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে তাতে সবাই লকডাউনের অনুমান করেছিল। এখন দোকানপাট বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় একসঙ্গে বাজার করতে হচ্ছে।তাছাড়া, করোনার মধ্যে বাজারে যত কম আসতে হয় ততই ভালো। তাই যতটুকু সম্ভব রমজানের বাজার করেছেন বলে জানান তারা।
একই পরিস্থিতি চট্টগ্রামের উপজেলাগুলোতেও। সেখানকার বিক্রেতারা বলছেন, লকডাউনের ঘোষণা আসার পর দোকানে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে ভিড় শুরু করে লোকজন। যা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি।
এদিকে, ফার্মেসি ও বিভিন্ন দোকানে হ্যান্ড ওয়াশ ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের চাহিদা বেড়ে গেছে। ইতোমধ্যে অধিকাংশ দোকানে হ্যান্ডওয়াশের রিফিল প্যাক শেষ হয়ে গেছে। ক্রেতা আসছেন কিন্তু মজুত না থাকায় দিতে পারছে না দোকানদাররা।
বিএনএনিউজ/আরকেসি