36 C
আবহাওয়া
১২:৫৬ অপরাহ্ণ - এপ্রিল ২৫, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » কক্সবাজারে লাখো পর্যটকের ঢল

কক্সবাজারে লাখো পর্যটকের ঢল


বিএনএ, কক্সবাজার : ঋতুরাজ বসন্তের যৌবনে পর্যটকের তীর ভাঙা ঢেউ উপচে পড়ছে কক্সবাজার। ভোরের কুয়াশাছন্ন আকাশ, দিপ্রহরে মিটেকড়া রোদ, পডন্ত বিকেলের আরামদায়ক সূর্যের কিরণে সমুদ্র স্নানের মজাই যেন অন্যরকম অনুভূতিতে বেশ ভালোই কাটছে পর্যটকদের সারাবেলা।

পবিত্র রমজান আসন্ন তাই, বিনোদনের এইতো শ্রেষ্ট সময়।যে যাই বলুক এই সুবর্ণ সুযোগ মিস করতে নেই। ঝিরিঝিরি স্নিগ্ধ দক্ষিণা হাওয়ায় ধূলোবালি আর সমুদ্র জলে একাকার লাখো পর্যটক। জলে, স্থলে পাহাড়, শুটকি মার্কেট, ঝিনুক মার্কেট, বার্মিজ মার্কেটসহ প্রাচীনস্থাপত্য,পার্ক ও সমুদ্রবিহারে দেশী বিদেশি পর্যটকে মুখরিত এখন কক্সবাজার। ছুটির দিনতো বটেই অন্যান্য দিনে পর্যটকের কমতি নেই কোথাও।

হোটেল হোটেল জোনের সিনিয়র সহসভাপতি শাহ আলম চৌধুরী প্রকাশ রাজা শাহ আলম বলেন, দীর্ঘ একমাস যাবত পর্যটকের আনাগোনা বেড়েছে অন্যান্য বছরের তুলনায়।ছোটবড় সব হোটেল মোটেল, গেষ্ট হাউস, রেষ্ট হাউস, কটেজ সরকারী বেসরকারী সব রেষ্ট হাউস ও ডাকবাংলো খালি নেই।বন্ধের দিনে ভীড় আরো বেশী। কক্সবাজারের প্রায় চারশো রেস্তোরাঁ জমজমাট ব্যবসা করছে এ মৌসুমে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাও বেজায় খুশী।

রেষ্টুরেন্ট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নঈমুল হক চৌধুরী টুটুল বলেন, মৌসুমে ভালো ব্যবসা হয়েছে। প্রত্যকটা রেস্তোরা দৈনিক ২০ হাজার থেকে দুই আড়াই লক্ষ টাকার বেঁচা বিক্রি হচ্ছে।

কক্সবাজারে পর্যটকদের রাত্রিযাপনের জন্য ৫ শতাধিক হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউস রয়েছে। যেখানে প্রতিদিন রাত্রিযাপন করতে পারে দেড়নলাখের বেশি নারী পুরুষ।

স্বাভাবিক নিয়মে ফাল্গুন মাসের শেষে খুব বেশি শীত থাকেনা।তাই পর্যটকদের জন্য এখন মনোরম পরিবেশ। এমনিতে সমুদ্র জেলাটির আবহাওয়া এখন নাতিশীতোষ্ণ। এই আবহাওয়ায় সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত বিপুল সংখ্যক পর্যটকে মুখরিত হয়ে উঠেছে।

শুক্রবার (০৩ মার্চ) সকাল থেকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবণী, সী গাল, সুগন্ধা থেকে কলাতলী পয়েন্ট তিন কিলোমিটার সৈকত জুড়ে দেখা মিলেছে পর্যটকের আনাগোনা।

সৈকতের কিটকট (বীচ ছাতা) বসে অনেকেই উপভোগ করছেন সাগরের বিশালতা। আবার অনেকেই সৈকতের বালিয়াড়িতে ঘোড়ার পিঠে চড়ে ছবি তুলে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।

সৈকত ভ্রমণে আসা বিপুল সংখ্যক মানুষের গল্প অনেকটাই একই। সবাই বলছেন, সাপ্তহিক ছুটিতে যান্ত্রিক নগরের ব্যস্ততা থেকে অবকাশ যাপন আর সাগর উপভোগ করতেই এসেছেন তারা।

ঢাকা থেকে স্বপরিবারে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী মো. সোহানুল ইসলাম ও ইসরাত জান্নাত জানান, কর্মব্যস্ত জীবনে পরিবারকে সময় দেওয়া হয় না। তাই সাপ্তাহিক ছুটির দিনে পরিবারকে একটু সময় দিতে ছুটে এসেছেন সাগরতীরে।

শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত কক্সবাজারে লাখের বেশি পর্যটক ভ্রমণে এসেছেন বলে জানিয়েছেন হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম সিকদার।

সৈকতের লাবণী পয়েন্টে দায়িত্বরত ট্যুরিস্ট পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ ইসমাইল জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তায় সৈকতসহ পর্যটন স্পটগুলোতে তৎপর রয়েছেন তাদের সদস্যরা।

কমপক্ষে ৪ হাজার পর্যটক শুক্রবার সকালে সেন্টমার্টিন ভ্রমণে গেছেন বলে জানান তিনি।

বীচ ম্যানেজম্যন কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক মোঃ শাহীন ইমরান জানান, পর্যটকদের আনাগোনা যতই বাড়ুক কোন সমস্যা নেই।ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি বীচ কর্মী, গোয়েন্দা ইউনিট,র‍্যাব পুলিশ, ট্রাফিক ও লাইফগার্ড কর্মীরা আছেন সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায়।অপরাধ করে কেউ পার পাবেনা।

বিএনএনিউজ/এইচ এম ফরিদুল আলম শাহীন/এইচ.এম।

Loading


শিরোনাম বিএনএ