29 C
আবহাওয়া
৮:২৪ অপরাহ্ণ - মার্চ ২৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » কোকেন জব্দ: বন্দরের সাবেক কর্মকর্তাসহ ৩ জন সাক্ষ্য দিলেন

কোকেন জব্দ: বন্দরের সাবেক কর্মকর্তাসহ ৩ জন সাক্ষ্য দিলেন

কোকেন জব্দ: আরও দুইজনের সাক্ষ্যগ্রহণ

বিএনএ,চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বন্দরে কোকেনের চালান জব্দের ঘটনায় মাদক আইনে দায়ের হওয়া মামলায় বন্দরের নিরাপত্তা বিভাগের কর্মকর্তাসহ তিন জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত। এ নিয়ে আলোচিত এই মামলায় মোট ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে।

বুধবার (৩ মার্চ) চট্টগ্রামের সিনিয়র স্পেশাল জজ-১ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালতে মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। আদালত ১৪ মার্চ পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের সময় নির্ধারণ করেছেন। এরআগে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি তিনজন সাক্ষ্য দিয়েছিলেন।

আদালতে আজ (বুধবার) যে তিন জন সাক্ষ্যগ্রহণ দিলেন তারা হলেন— চট্টগ্রাম বন্দরের নিরাপত্তা বিভাগের সাবেক কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার নেজাম উদ্দিন, মো. মহিউদ্দিন ও মো. মাহাবুবুর রহমান। তারা তিন জনই জব্দ তালিকার সাক্ষী।

চট্টগ্রাম মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী জানান, কোকেন মামলার গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী চট্টগ্রাম বন্দর নিরাপত্তা বিভাগের কর্মকর্তা নেজাম উদ্দিনসহ তিন জনের সাক্ষ্য গ্রহণ হয়েছে।

তিনি বলেন, নেজাম উদ্দিনের সামনে কন্টেইনার ও ড্রাম খুলে আলামত সংগ্রহ এবং সিলগালা করা হয়েছে। তিনি জব্দ তালিকার সাক্ষী হিসেবে আদালতে সাক্ষী দেন। এছাড়াও মো. মহিউদ্দিন ও মো. মাহাবুবুর রহমান নামে আরও দুইজন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ তরল কোকেনের এই চালান আটকের ঘটনায় দায়ের হওয়া মাদক আইনের মামলায় ২০১৯ সালের ২৯ এপ্রিল ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। এরপর ওই বছরের ১৯ মে থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।

অভিযুক্ত ১০ জন হলেন- আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রামের খানজাহান আলী লিমিটেডের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ ও তার ভাই মোস্তাক আহম্মদ, কসকো-বাংলাদেশ শিপিং লাইনসের ব্যবস্থাপক এ কে এম আজাদ, সিকিউরিটিজ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মেহেদী আলম, সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, আবাসন ব্যবসায়ী মোস্তফা কামাল, প্রাইম হ্যাচারির ব্যবস্থাপক গোলাম মোস্তফা সোহেল, পোশাক রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান মণ্ডল গ্রুপের বাণিজ্যিক নির্বাহী আতিকুর রহমান, লন্ডনপ্রবাসী চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের ফজলুর রহমান ও মৌলভীবাজারের বকুল মিয়া।

এদের মধ্যে গোলাম মোস্তফা সোহেল ও আতিকুর রহমান কারাগারে আছেন। জামিনে আছেন মেহেদী আলম, এ কে এম আজাদ, সাইফুল ইসলাম ও মোস্তফা কামাল। জামিনে গিয়ে পালিয়ে গেছেন নুর মোহাম্মদ। এছাড়া মোস্তাক আহম্মদ, ফজলুর রহমান ও বকুল মিয়া শুরু থেকেই পলাতক আছেন।

২০১৫ সালের ৬ জুন পুলিশের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কোকেন সন্দেহে চট্টগ্রাম বন্দরে সূর্যমুখী তেলের একটি চালান জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। এরপর ২৭ জুন তেলের চালানের ১০৭টি ড্রামের মধ্যে একটি ড্রামের নমুনায় কোকেন শনাক্ত হয়। বলিভিয়া থেকে আসা চালানটির প্রতিটি ড্রামে ১৮৫ কেজি করে সূর্যমুখী তেল ছিল। পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের রাসায়নিক পরীক্ষাগারসহ চারটি পরীক্ষাগারে তেলের চালানের দুটি ড্রামের নমুনায় কোকেন শনাক্ত হয়। এ ঘটনায় নগরীর বন্দর থানায় ২০১৫ সালের ২৭ জুন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও চোরাচালান আইনের ধারায় একটি মামলা হয়। আসামি করা হয় চালানটির আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান খানজাহান আলী লিমিটেডের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদকে।

র‌্যাব নুর মোহাম্মদসহ ১০ জনকে আসামি করে ২০১৭ সালের ৩ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। আদালত তা গ্রহণ করেন।

চালানটি উরুগুয়ের মন্টিভিডিও থেকে জাহাজীকরণ করা হয়েছিল। পরে তা সিঙ্গাপুর হয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে আসে।

বিএনএনিউজ/মনির

Loading


শিরোনাম বিএনএ