বিএনএ, ঢাকা : শীঘ্রই বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম কেন্দ্রীয় সম্মেলন দেয়ার দাবি জানিয়েছেন সংগঠন থেকে অব্যাহতি পাওয়া নেতারা।
বুধবার(৩ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে বিতর্কমুক্ত ও শুদ্ধকরণের নামে চলমান অপরাজনীতি ও অপসংস্কৃতির প্রতিবাদ’ শিরোনামে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ছাত্রলীগ থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় উপ-দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আব্দুল্লাহ বিন মুন্সি।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ২০১৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরিত একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ২১ জনকে পদ থেকে অব্যাহতি দেয়ার কথা জানানো হয়। কিন্তু তাদের ঠিক কি কারণে অব্যাহতি দেয়া হল সে সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি। আমাদের যাদের অব্যহতি দেয়া হয়েছে তারা এ বিষয়ে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে জানতে চাই। তারা কেউ এ বিষয়ে মুখ খোলেননি।তারা আমাদের ছাত্রলীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত চার নেতার সাথে যোগযোগ করতে বলেন। আমরা তাদের কাছেও গিয়েছি। তারাও আমাদের কিছু জানাতে পারেননি।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, গত ৩১ জানুয়ারি ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ৬৮টি শূণ্যপদে নতুন করে ৬৮ জনকে পদায়ন করেছেন। কোন প্রক্রিয়ায় ও কীসের ভিত্তিতে এসব পদে তাদের পদায়ন করা হয়েছে, তার কোন ব্যখ্যা পাওয়া যায়নি। নতুন করে যাদের পদায়ন করা হয়েছে, তাদের মধ্যে মাদকাসক্ত, বিবাহিত, বয়সোত্তীর্ণ ও চাকুরিজীবীর মতো গঠনতন্ত্র বিরোধী অনেকেই রয়েছে। এটি স্পষ্ট একটি প্রহসন।
বর্তমান সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, ত্যাগী ও বিদ্যমান কমিটির সিনিয়র নেতাদের অবমূল্যায়ন, তৃণমূলে সম্মেলন দিতে না পারা, নিজস্ব এজেন্ডা বান্তাবায়ন করাসহ নানা অভিযোগ এনে তাদের পদত্যাগের দাবি জানান তারা।
পদত্যাগের পাশাপাশি ৩০তম সম্মেলন দিয়ে সংগঠনের অচলায়তন ভাঙার কথাও বলা হয় লিখিত বক্তব্যে।
বিএনএ/আহা, ওজি