28 C
আবহাওয়া
১:০১ পূর্বাহ্ণ - সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » নামাজ ত্যাগে পাঁচটি বড় শাস্তি 

নামাজ ত্যাগে পাঁচটি বড় শাস্তি 

নামাজ

ধর্ম ডেস্ক: একজন ঈমানদারের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত নামাজ। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর থেকে সবার ওপর নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায় করা ফরজ। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘নির্ধারিত সময়ে সালাত আদায় করা মুমিনদের জন্য অবশ্যকর্তব্য।’ (সুরা নিসা: ১০৩)

কোরআন-হাদিসে নামাজের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে এবং নামাজ না পড়ার বিভিন্ন শাস্তি বর্ণিত হয়েছে। নিচে নামাজ ছেড়ে দেওয়ার ৫টি কঠিন পরিণতি তুলে ধরা হলো।

১. আল্লাহ জিম্মাদারি তুলে নেন
ইচ্ছাকৃত ফরজ নামাজ ছেড়ে দিলে মহান আল্লাহ ওই ব্যক্তির ওপর থেকে তাঁর জিম্মাদারি বা রক্ষণাবেক্ষণ তুলে নেন। মুআজ (রা.) বলেন, রাসুল (স.) আমাকে দশটি নসিহত করেন, তার মধ্যে বিশেষ একটি এটাও যে তুমি ইচ্ছাকৃত ফরজ নামাজ ত্যাগ করো না। কারণ, যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত ফরজ নামাজ ত্যাগ করল তার ওপর আল্লাহ তাআলার কোনো জিম্মাদারি থাকল না।’ (মুসনাদ আহমদ: ৫/২৩৮)

২. কোনো আমল কবুল হবে না
নামাজ না পড়লে বহুরকম ক্ষতি সাধিত হয়। একটি ক্ষতি সম্পর্কে হাদিসে এসেছে, বুরাইদা (রা.) বলেন, নবী কারিম (স.) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি আছরের নামাজ পরিত্যাগ করল তার সব আমল বরবাদ হয়ে গেল।’ (সহিহ বুখারি: ৫৫৩, ৫৯৪)

৩. জীবন বরকতশূণ্য হয়ে যায়
নামাজ না পড়লে আয়-বরকত কমে যায়। ফলে জীবনে শান্তি থাকে না। সবসময় একটা অস্বস্তিকর অবস্থার মধ্যে থাকতে হয়। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (স.) বলেন, ‘যে ব্যক্তির আছরের নামাজ ছুটে গেল তার পরিবারবর্গ ও ধন-সম্পদের যেন বিরাট ক্ষতি হয়ে গেল।’ (সহিহ বুখারি: ৫৫২)

৪. নামাজ পরিত্যাগকারীর স্থান জাহান্নাম
নামাজ পরিত্যাগকারীর সবচেয়ে বড় শাস্তি হলো- তারা নামাজ না পড়ার কারণে জাহান্নামে যাবে। জাহান্নামে গিয়ে তারা সে কথা স্বীকারও করবে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘(জাহান্নামিদের জিজ্ঞাসা করা হবে) তোমাদের কোন জিনিস সাকারে (জাহান্নাম) নিক্ষেপ করেছে? তারা বলবে, আমরা সালাত আদায়কারীদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম না।’ (সুরা মুদ্দাসসির: ৪২-৪৩)

৫. জাহান্নামে অপমানজনক শাস্তি
দুনিয়াতে যারা যথাযথভাবে নামাজ আদায় করেনি পরকালে তারা হবে অপমানিত ও লাঞ্ছিত। আল্লাহ তাআলা বলেন- ‘(স্মরণ কর) সেই চরম সংকটময় কেয়ামত দিবসের কথা যেদিন তাদেরকে আহবান করা হবে সেজদা করার জন্য কিন্তু তারা তা করতে সক্ষম হবে না। তাদের দৃষ্টি অবনত হবে, হীনতা তাদের আচ্ছন্ন করবে অথচ যখন তারা নিরাপদ ছিল, তখন তো তাদের সেজদা করার আহ্বান করা হতো (কিন্তু তারা সেজদা করেনি)।’ (সুরা আল-কালাম: ৪২-৪৩)

সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত আল্লাহর নির্ধারিত ফরজ নামাজ যথাযথভাবে আদায় করা। দুনিয়া ও পরকালে অপমান লাঞ্ছনা ও শাস্তি থেকে বেঁচে থাকা। আল্লাহ আমাদের তাওফিক দান করুন। আমিন।

বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ

Loading


শিরোনাম বিএনএ