বিএনএ, বিনোদন ডেস্ক:এবারের ঈদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অন্যতম আলোচিত বিষয় ঢাকাই সিনেমা। সামাজিক যোগাযোগে ঢু মারলেই দেখা যাচ্ছে ঈদ ও ঈদের পরে মুক্তি পাওয়া ছবি নিয়ে সাধারণ দর্শকের নানা ধরনের রিভিউ।
এই যেমন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফেসবুকে বাংলা চলচ্চিত্র গ্রুপে লিখেছেন,বাংলা সিনেমা অনেক দিন দেখিনি। এবার ঈদে পরিবার নিয়ে গিয়েছিলাম ছবি দেখতে। পরাণ আমাদের মন জয় করেছে।
হাসান নামের একজন লিখেছে,ঢাকার সব কটি সিনেপ্লেক্সেই প্রচুর দর্শকের চাপ দিন: দ্য ডে দেখার জন্য। অবশেষে বসুন্ধরা সিনেপ্লেক্সে সিনেমাটি দেখলাম, উপচে পরা ভিড়। আমার ভালোই লেগেছে।
সাংবাদিক ইমরুল শাহেদ লিখেছেন দর্শককে সিনেমা হলে ফিরিয়ে আনার কৃতিত্ব অনন্ত জলিলের। সিনেপ্লেক্স এবং মফস্বলের সিনেমা হলের দর্শকভিন্নতা নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত হওয়ার পর পরই আরেকটি প্রশ্ন সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। ‘পরাণ’ ও ‘হাওয়া’ ছবিকে কেন্দ্র করে মিডিয়া জগতের কেউ কেউ প্রায় প্রকাশ্যেই বলতে শুরু করেছেন চলচ্চিত্র নির্মাণ এখন এফডিসি কেন্দ্রিক চিত্রনির্মাতাদের হাত থেকে বেরিয়ে গেছে। ‘হাওয়া’ ছবিটি সবে মুক্তি পেয়েছে। সুতরাং সেটি এখনো সিনেপ্লেক্সের আড়াই বা তিনশ’ আসনেই সীমাবদ্ধ। ব্যতিক্রম শুধু ঢাকার মধুমিতা সিনেমা হলটি। কিন্তু ‘পরাণ’ ছবির ফল সিনেপ্লেক্সে ভালো গেলেও গ্রামাঞ্চলের সিনেমা হলে ভালো ব্যবসা করছে না। এমন তথ্যই দিয়েছেন প্রদর্শকরা।
তারা বলছেন, এসব ছবিতে যারা অভিনয় করছেন তাদের গ্রামাঞ্চলের দর্শক চিনে না। ‘পরাণ’ ছবির পরিচালক এখন শাকিব খানকে নিয়ে ছবি নির্মাণের কথা ভাবছেন। টিভির শিল্পীদের নিয়ে নির্মিত কোনো ছবি গোটা দেশের দর্শককে টানতে পারে না।
ঈদ উপলক্ষ্যে সারা দেশে ১০৭ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে অনন্ত জলিল-বর্ষার দিন দ্য ডে সিনেমা।
লায়ন সিনেমা হলে সরেজমিন দেখা যায়, দর্শকদের উপচেপড়া ভিড়। দীর্ঘলাইন ধরে দাঁড়িয়ে টিকিট কিনছেন দর্শকরা।
পরে টিকিট না পেয়ে অনেকে হতাশা ব্যক্ত করেন। আগত দর্শকরা বিদেশি ছবির শোয়ের সংখ্যা কমিয়ে দিন: দ্য ডের শো বাড়ানোর দাবি জানান।
প্রযোজক পরিবেশক সমিতির এক আড্ডায় পরিচালক এজে রানা বলেন, চিত্রজগতের লোকজন একজনের ভালো আরেকজন দেখতে পারেন না। অনন্ত জলিল যেমন ছবিই নির্মাণ করুক, দর্শককে সিনেমা হলে ফিরিয়ে আনার কৃতিত্ব তার। তার প্রচারণার চমকে ‘দিন: দ্যা ডে’ দর্শকের কাছে একটা কৌতুহলের বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু এই প্রচারণায় চিত্রজগতের কেউ তাকে সঙ্গ দেয়নি। অনন্ত জলিল একাই লড়াই করে গেছেন। এই নিয়ে একাধিকবার তিনি ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন।
কিন্তু মিডিয়ার কারো যদি ছবি মুক্তি পায় তাহলে মিডিয়ার লোকজন তাৎক্ষণিকভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন প্রচার প্রক্রিয়ায় যুক্ত হয়ে যান। ‘হাওয়া’ ছবির প্রচারণায় যুক্ত হয়েছেন অভিনেত্রী জয়া আহসানও। শুধু তিনিই যুক্ত হননি, তিনি বলেছেন মেজবাউর রহমান সুমনের জন্য তার গোটা টিমই কাজ করবে। মিডিয়ার নির্মাতা এবং মূলধারার চলচ্চিত্র নির্মাতাদের মধ্যে এটাই পার্থক্য। ‘হাওয়া’ ছবি দেখার ও দেখানোর জন্য কোনো কোনো মিডিয়াকর্মী সিনেপ্লেক্সের টিকিটও বুকিং দিচ্ছেন।
বিএনএ/ রিপন রহমান খাঁন/এইচ.এম।