25 C
আবহাওয়া
৭:০২ অপরাহ্ণ - ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » টানা বৃষ্টিতে দক্ষিণ চট্টগ্রামের তিন উপজেলায় বন্যার শঙ্কা

টানা বৃষ্টিতে দক্ষিণ চট্টগ্রামের তিন উপজেলায় বন্যার শঙ্কা


বিএনএ,চট্টগ্রাম: গত তিন দিনের টানা ভারি বৃষ্টিতে দক্ষিণ চট্টগ্রামের তিন উপজেলায় ভয়াবহ বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। সাতকানিয়া, লোহাগাড়া ও চন্দনাইশ উপজেলায় টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে নিম্নাঞ্চল  প্লাবিত হয়েছে।  সাঙ্গু, ডলুনদী, হাঙ্গর, কঙ্কাবতী ও হাতিয়া খালের পানি বিপৎসীমার  উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি গ্রামে পানি প্রবেশ করায় গ্রামীণ সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। কেরানিহাট-বান্দরবান সড়কের দস্তিদার হাট এলাকায় সড়কের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় বান্দরবানের সঙ্গে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পথে। বৃষ্টির পরিমাণ বাড়লে বন্যা দেখা দিতে পারে এ ভয়ে দিন পার করছেন দক্ষিণ চট্টগ্রামের তিন উপজেলার মানুষ।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকাল থেকে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (সকাল সাড়ে ৯টা) উপজেলার বিভিন্ন স্থানে থেমে থেমে ভারি বৃষ্টি হচ্ছে।

দেখা গেছে, গত বছরের আগস্টে ভয়াবহ বন্যার ধকল সহ্য করতে হয়েছে লোহাগাড়া, সাতকানিয়া ও চন্দনাইশ উপজেলার বাসিন্দাদের। তলিয়ে গিয়েছিল ঘরবাড়ি ও গবাদিপশু। নিখোঁজ হয়েছিল বৃদ্ধ, শিশু। এবারও এভাবে ভারি বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় বন্যা আতঙ্ক বিরাজ করছে উপজেলাজুড়ে।

মঙ্গলবার সরেজমিন দেখা গেছে সাঙ্গু, ডলু নদী ও হাঙ্গর খালে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। কেঁওচিয়া ইউনিয়নের কয়েকটি এলাকা পানিতে নিমজ্জিত থাকায় গ্রামীণ সড়ক যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে। এমনকি কেরানীহাট-বান্দরবান মহাসড়কেও পানি উঠেছে। মহাসড়কটির দস্তিদার হাটের পূর্বে গ্রীণটাচ কনভেনশন সেন্টার এলাকায় সড়কের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে সড়কটি পুরোপুরি তলিয়ে গিয়ে বান্দরবানের সঙ্গে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

কেঁওচিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. রাইহান বলেন, ‘গতবারের বন্যার পানি আমাদের সর্বশান্ত করেছে। এভাবে যদি আবারও বন্যা হয়, তাহলে আমাদের দুর্দশার কোনো শেষ হবে না।’

কেঁওচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ওসমান আলী জানান, কেঁওচিয়া ইউনিয়নের একাধিক গ্রাম ডুবে গেছে। গ্রামীণ সড়কের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় যোগাযোগের ক্ষেত্রে বাসিন্দাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন বিশ্বাস বলেন, জনপ্রতিনিধিদের সতর্ক থাকতে এবং পরিস্থিতির অবনতি হলে জনসাধারণকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে লোহাগাড়া উপজেলার আধুনগর ইউনিয়নের সিকদারপাড়া সংলগ্ন হাতিয়ার খালের বেড়িবাঁধ বিধ্বস্ত হয়ে নিম্নাঞ্চলের দিকে বানের পানি প্রবেশ করে এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বর্ষণ অব্যাহত থাকলে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়ে বহু ঘরবাড়ি ক্ষতি এবং বানের পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আষাঢ়ের মধ্যভাগে এসে বর্ষাকাল চেনা রূপেই ধরা দিয়েছে বাংলাদেশে। সক্রিয় হয়ে উঠেছে মৌসুমি বায়ু, যার প্রভাবে সারাদেশে বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির এই ধারা সামনের কয়েকদিন চলবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। গত ২৭ জুন থেকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে শুরু করে। গত শুক্রবার রাত থেকেই সারাদেশে থেমে থেমে ভারি বৃষ্টি হচ্ছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে আবার কোথাও কোথাও হতে পারে ভারী বর্ষণ।

আজকের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।

বিএনএনিউজ/রেহানা, নাবিদ/ হাসনা

Loading


শিরোনাম বিএনএ