25 C
আবহাওয়া
৯:৪৭ পূর্বাহ্ণ - জুন ৪, ২০২৫
Bnanews24.com
Home » `প্রতীক ও নিবন্ধন দুটোর বিষয়েই কমিশন ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে’

`প্রতীক ও নিবন্ধন দুটোর বিষয়েই কমিশন ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে’


বিএনএ, ঢাকা : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ বলেছেন,  প্রতীক ও নিবন্ধন দুটোর বিষয়েই কমিশন ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে । আশা করি, কমিশন শিগগিরই কোর্টের রায় বাস্তবায়ন করবে।

সোমবার (২ জুন) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনসহ পূর্ণ কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, আদালত গতকাল রোববারের রায়ে ২০১৩ সালের পূর্বে নিবন্ধনের যে অবস্থা ছিল, সে অবস্থা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আদেশ দিয়েছেন। আমরা সে জন্য ফুল কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছি। বৈঠকে রায় বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা করেছি। তারা ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন। দ্রুত রায কার্যকর করবেন বলে বলেছেন।

প্রতীকের বিষয়ে তিনি বলেন, ২০১৩ সালের আগে আমাদের যে অবস্থা ছিল, যেমন আমি নিজে ২০০৮ সালের নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীক নিয়ে জয়ী হয়েছিলাম। সে অবস্থায় ফিরে যেতে হবে।

ওয়ান-ইলেভেন সরকার রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের বিধান চালু করে। ২০০৮ সালে নিবন্ধন পায় জামায়াতে ইসলামী। নিবন্ধিত দল হিসেবে ওই বছর ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচনে অংশ নিয়ে দুটি আসনে জয় পায় দলটি।

তবে ২০০৯ সালে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের তৎকালীন সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, জাকের পার্টির তৎকালীন মহাসচিব মুন্সি আবদুল লতিফ, সম্মিলিত ইসলামী জোটের প্রেসিডেন্ট মাওলানা জিয়াউল হাসানসহ ২৫ জন জামায়াতের নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন। তাদের গঠনতন্ত্র সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে রিটে উল্লেখ করা হয়।

এ রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০০৯ সালের ২৭ জানুয়ারি রুল জারি হয়। নিবন্ধন নিয়ে রুল জারির পর ওই বছরের ডিসেম্বরে একবার, ২০১০ সালের জুলাই ও নভেম্বরে দুইবার এবং ২০১২ সালের অক্টোবর ও নভেম্বরে দুইবার গঠনতন্ত্র সংশোধন করে নির্বাচন কমিশনে জমা দেয় জামায়াত। এসব সংশোধনীতে দলের নাম ‘জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশ’ পরিবর্তন করে ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’ করা হয়।

এরপর ২০১৩ সালের ১২ জুন ওই রুলের শুনানি শেষ হয়। একই বছরের ১ আগস্ট জামায়াতকে দেওয়া নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে অবৈধ বলে রায় দেন বিচারপতি এম মোয়াজ্জেম হোসেন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি কাজী রেজা-উল-হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ।

তবে আদালত জামায়াতে ইসলামীকে আপিল করারও অনুমোদন দিয়ে দেন। এ রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে জামায়াতের করা আবেদন একই বছরের ৫ আগস্ট খারিজ করে দেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী। ওই বছরের ২ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে জামায়াতে ইসলামী আপিল করে। জামায়াতের আইনজীবী অনুপস্থিত থাকায় ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর জামায়াতের আপিল খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।

গত বছর আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১ আগস্ট সরকার অঙ্গসংগঠনসহ জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এরপর গত ২৮ আগস্ট সরকার জামায়াতকে নিষিদ্ধ করে নির্বাহী আদেশ বাতিল করে।

নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন বাতিল করে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আইনি পথে হাঁটে দলটি। এরপর ইতোপূর্বে খারিজ হওয়া আপিলটি পুনরুজ্জীবনের (রিস্টোর) জন্য আবেদন করা হয়।

সে অনুযায়ী রোববার (১ জুন) সকালে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ আপিল মঞ্জুর করেন। ফলে জামায়াত তাদের নিবন্ধন ফেরত পায়। আদালতের আদেশে বলা হয়, দলটির ক্ষেত্রে পেন্ডিং (অনিষ্পন্ন) গঠনতন্ত্র ও রেজিস্ট্রেশন ইস্যু এবং অন্য কোনো ইস্যু যদি থেকে থাকে, তা সাংবিধানিক ম্যান্ডেট পুরোপুরি প্রয়োগ করে নিষ্পত্তি করতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) নির্দেশ দেওয়া হলো।

রায়ের পর জামায়াতের আরেক আইনজীবী শিশির মনির ও নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম এ বিষয়ে একমত পোষণ করেন যে, জামায়াতের নিবন্ধন বৈধ বলে গণ্য হলো এবং দলটি নিবন্ধন ফেরত পেলো।

বিএনএ/ ওজি/শাম্মী

Loading


শিরোনাম বিএনএ