17 C
আবহাওয়া
১২:৫৮ পূর্বাহ্ণ - ডিসেম্বর ২২, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ভ্যান গাড়ির দখলে চট্টগ্রাম কলেজ রোড, নেপথ্যে চাঁদাবাজি

ভ্যান গাড়ির দখলে চট্টগ্রাম কলেজ রোড, নেপথ্যে চাঁদাবাজি

ভ্যান গাড়ির দখলে চট্টগ্রাম কলেজ রোড, নেপথ্যে চাঁদাবাজি

।। এনামুল হক নাবিদ ।।

বিএনএ, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম নগরীর ব্যস্ততম সড়ক চট্টগ্রাম কলেজ রোড। এখানে রয়েছে সরকারি-বেসরকারি বেশ কয়েকটি নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ছোট-বড় মার্কেটও রয়েছে ৫-৬টি। ফলে দিন-রাত মানুষ চলাচলের পাশাপাশি গাড়ির চাপও খুব বেশি থাকে। কিন্তু হাজার হাজার মানুষের চলাচলের ব্যস্ত সড়কটি দিন-রাত দখলে রাখে ৫০টিরও বেশি ভ্যানগাড়ি! শুধু সড়ক নয়, ফুটপাতও তাদের দখলে।

দেখা যায়, গুলজার মোড়েই রয়েছে ট্রাফিক পুলিশ বক্স। চকবাজার থানার দূরত্বটা বেশি নয়। পুলিশের নাকের ডগায় দাপিয়ে চলছে দখল বাণিজ্য। প্রতিদিনই ভোগান্তি নিয়ে পথ চলতে হচ্ছে শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে পথচারী, যাত্রী ও গাড়ি চালকদের।

অভিযোগ আছে, এসব ভ্যানগাড়ি নিয়ন্ত্রণ করে চকবাজার পুলিশ ফাঁড়ি। প্রতিদিন ফাঁড়ির নামে লোক দিয়ে তোলা হয় টাকা। এসব টাকা রাতে বুঝে নেন ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সরওয়ার আলম। ট্রাফিক পুলিশের নামেও টাকা তুলে একাধিক লোক।

ভ্যান গাড়ির দখলে চট্টগ্রাম কলেজ রোড, নেপথ্যে চাঁদাবাজি
নিত্যদিনের যানজটের দৃশ্য

সরেজমিন দেখা গেছে, গুলজার মোড় থেকে শুরু করে গণি বেকারি মোড় পর্যন্ত অর্ধশত ভ্যান গাড়ি বিক্রেতার মাথার ওপর বড় বড় ছাতা। এছাড়া কেয়ারি ইলিশিয়ামের সামনে থেকে চট্টগ্রাম কলেজ হোস্টেল গেইট পর্যন্ত ভ্যানগাড়ি রয়েছে অন্তত ২৫টি। কেয়ারি ইলিশিয়ামের বিপরীতেই রয়েছে ম্যাক্সিমা গাড়ির স্ট্যান্ড। প্যারেড কর্ণার রশিদ হাজারী লেইনের সড়কে বসে প্রায় ৩০ টি ভ্যানগাড়ি। এর মধ্যে চা-সিগারেট ও খাবারের দোকান বেশি। এসব দোকানে সন্ধ্যা হলেই জমজমাট আড্ডা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ব্যস্ততম রাস্তা দখল করে ভ্যানগাড়ি বসানোর নেপথ্যে রয়েছে বেপরোয়া চাঁদাবাজি। পুলিশের নামে প্রতিদিন তোলা হয় চাঁদা। এছাড়া বাজারের ইজারা, জায়গা ভাড়াও আদায় করা হয় এসব ভ্যানগাড়ি থেকে। রাস্তায় বসতে হলে একটি ভ্যানগাড়িকে দিনে ৩শ থেকে সাড়ে ৩শ টাকা গুণতে হয়।

স্থানীয়রা জানান, ভ্যানগাড়ির কারণে রাস্তা সংকুচিত হয়ে গাড়ি চলাচল বাঁধাগ্রস্ত হয়। ফলে প্রতিদিন সৃষ্টি হয় যানজট। মানুষের ধাক্কাধাক্কিতে ঘটছে দুর্ঘটনা।

এলাকার বাসিন্দা মো. নাজিম বলেন, প্রতিদিন বাচ্চাদের স্কুলে আনা-নেওয়ার সময় যানজটে পড়তে হয়। রাস্তা-ফুটপাত দখলমুক্ত থাকলে যানজট কম হতো। গুলজার মোড়েই ট্রাফিক পুলিশ বক্স আর অল্প দূরে থানা। সাধারণ মানুষরাই প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।

ভ্যানগাড়িতে কাপড় বিক্রি করা এক হকার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রতিদিন পুলিশের নামে টাকা নিয়ে যায়। এছাড়া বাজারের হাসিল, জায়গা ভাড়াও দিতে হয়। না দিলে বসতে দেয় না।

পথচারী মো. জামাল বলেন, ব্যস্ত রাস্তা দখল করে চলছে জমজমাট বাণিজ্য। থানা ও ট্রাফিক পুলিশ এসব দেখেও দেখে না।

পুলিশের নামে সড়ক থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে চকবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সরওয়ার আলম বলেন, আপনি অফিসে এসে কথা বলে যান। আপনি বিষয়টা দেখেন। এভাবে লিখলে এটা আমাদের মান-সম্মানের বিষয়। এটা কারা চাঁদা নেয় কারা কি করে আপনি খোঁজ খবর নেন। এটা মূলত চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগ বা মহসিন কলেজ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা তাদের জন্য টাকা নেয়। আমরা নিয়মিত অভিযান চালায়। সিটি করপোরেশনও এটা উচ্ছেদ কার্যক্রমে সবসময় কাজ করে যাচ্ছে।

চকবাজার এলাকার ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) বিপ্লব কুমার পাল বলেন, এখন এদিকে আমি দায়িত্বে নেই। এই চাঁদা আদায়ের সাথে ট্রাফিক পুলিশের কোন সম্পর্ক নাই। আমি যখনই ওই দিকে যায় উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করি।

বিএনএনিউজ/ বিএম/ হাসনা

Loading


শিরোনাম বিএনএ