বিএনএ, ঢাকা: আধিপত্য ধরে রাখতে ঢাকার শাহজাহানপুরে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপুকে খুন করা হয়। এমন তথ্য জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র্যাব।
র্যাবের দাবি, এই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক (৫২)। তবে হত্যার ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করা হয় দুবাই থেকে। হত্যায় চুক্তির ১৫ লাখ টাকার বেশিরভাগের যোগানদাতা ওমর ফারুক।
টিপু হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ওমর ফারুকসহ আরও ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
শনিবার (২ এপ্রিল) রাজধানীর কারওয়ানবাজারে মিডিয়া সেন্টারে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে র্যাব। সেখানে র্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল-মঈন জানান, গ্রেপ্তার ৪ জন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনায় সম্পৃক্ত থাকার তথ্য দিয়েছে।
ওমর ফারুক ছাড়া র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার অন্য ৩ জন হলেন, আবু সালেহ শিকদার ওরফে শুটার সালেহ (৩৮), নাছির উদ্দিন ওরফে কিলার নাছির (৩৮) এবং মোরশেদুল আলম ওরফে কাইল্লা পলাশ (৫১)।
তাদেরকে রাজধানীর মুগদা, শাহজাহানপুর ও মিরপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডের সময় নজরদারির কাজে ব্যবহার করা মোটর সাইকেল ও হত্যার জন্য দেওয়া ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা এবং মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
কমান্ডার মঈন জানান, দীর্ঘদিন মতিঝিল এলাকার চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, স্কুল-কলেজের ভর্তি বাণিজ্য, বাজার নিয়ন্ত্রণ, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে টিপু ও হত্যার পরিকল্পনাকারীদের মধ্যে বিরোধ ছিল।
র্যাব জানায়, দেশ থেকে কিলার নাছির, কাইল্লা পলাশসহ আরও কয়েকজন জাহিদুল ইসলাম টিপুর অবস্থান সম্পর্কে বেশ কয়েকদিন যাবত মুসার কাছে তথ্য পাঠাত। হত্যাকাণ্ডের আগে মুসা দুবাই চলে যান। ঘটনার দিন সন্ধ্যার পর কিলার নাছির আনুমানিক চারবার জাহিদুল ইসলাম টিপুর অবস্থান সম্পর্কে মুসাকে অবহিত করে।
কমান্ডার মঈন বলেন, টিপু হত্যাকান্ডের জন্য ওমর ফারুকের সঙ্গে ১৫ লাখ টাকার চুক্তি হয়। ওই ১৫ লাখ টাকার মধ্যে ওমর ফারুক দেয় ৯ লাখ আর বাকি টাকা দেয় নাছির উদ্দিন, আবু সালেহ শিকদার ও মুসা।
র্যাব জানায়, ২০১৩ সালে রাজধানীর গুলশান শপার্স ওয়ার্ল্ডের সামনে মিল্কী হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। গ্রেপ্তাররা মিল্কীর সহযোগী ছিলেন। মিল্কি হত্যায় টিপু জড়িত ছিলেন বলে গ্রেপ্তাররা সন্দেহ করতেন। তখন মিল্কী হত্যায় যে মামলা দায়ের করা হয়েছিল সেখানে এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন টিপু। তবে বিচারিক কার্যক্রমে টিপুর নাম বাদ পড়ে। যার ফলে গ্রেপ্তারা ক্ষুব্ধ হন।
গত ২৪ মার্চ রাতে শাহজাহানপুরের আমতলী এলাকায় বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হন টিপু। ঘটনার সময় গাড়ির কাছেই রিকশায় থাকা বদরুন্নেছা সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী সামিয়া আফনান প্রীতিও গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। আহত হন টিপুর গাড়ি চালক মুন্না।
বিএনএ/ এ আর