28 C
আবহাওয়া
৮:১০ পূর্বাহ্ণ - এপ্রিল ১৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ফের রোহিঙ্গা গণহত্যার আশঙ্কা!

ফের রোহিঙ্গা গণহত্যার আশঙ্কা!

মিয়ানমার রোহিঙ্গা village fire

বিএনএ বিশ্ব ডেস্ক: মিয়ানমারে ফের গণহত্যার আশঙ্কা করছেন জাতিসঙ্ঘের দেশটির বিশেষ প্রতিবেদক টম অ্যান্ড্রুস ।   মিয়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পর বিশ্বকে সতর্ক করে বলেছেন যে ‘ গুটিয়ে বসে থাকলে আবারো ২০১৭ সালের জাতিনিধনমূলক অভিযানের পুনরাবৃত্তি ঘটবে’।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের কোন রকম নাগরিক অধিকার বঞ্চিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে রক্ষা করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ‘আরো দায়িত্বশীল হওয়ার’ আহ্বান জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার(২ফেব্রুয়ারি ২০২৩) আরব নিউজ অনলাইনের কভার প্রতিবেদনে বলা হয়, ৬ বছর আগে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছিল রোহিঙ্গা সম্প্রদায়। সেনাবাহিনীর দমন পীড়নে হাজার হাজার রোহিঙ্গা নিহত হয়েছিল এবং ১০ লাখেরও বেশি মানুষকে অন্য দেশে পালিয়ে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল।

জাতিসঙ্ঘের স্বাধীন কার্যক্রম বিশেষজ্ঞ টম অ্যান্ড্রুস সতর্ক করেছেন যে যারা সে সময় ‘গণহত্যা চালিয়েছিল’ তারাই এখন দেশ নিয়ন্ত্রণ করছে এবং ‘রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মানবাধিকার রক্ষা তাদের অগ্রাধিকার নয়’।

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানরা কয়েক দশক ধরে সহিংসতা, বৈষম্য এবং নিপীড়নের শিকার হয়েছে। কিন্তু ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইন রাজ্যের(সাবেক আরাকান প্রদেশ) উত্তরে দেশটির সামরিক বাহিনী সবচেয়ে নৃশংস অভিযান শুরু করে।

বিশ্ব মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, এই সহিংসতার ফলে আন্তর্জাতিক আইনে গুরুতর অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। জান্তা সমগ্র গ্রাম জ্বালিয়ে দেয় এবং সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে বাধ্য করে। যাদের অর্ধেক শিশু।  বাংলাদেশের  কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে এখন প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করছে।

সম্প্রতি মিয়ানমারে একটি অনুসন্ধান চালিয়ে ফিরেছেন অ্যান্ড্রুস। এবং নিউইয়র্কে জাতিসঙ্ঘের কাছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির পরিস্থিতি নিয়ে তার প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছেন।

আরব নিউজকে টম অ্যান্ড্রুস বলেন, ছয় লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা এখন রাখাইন রাজ্যে বসবাস করছে। এদের মধ্যে এক লাখ ৩০ হাজার অস্থায়ী বন্দিশিবিরে আছে।

অ্যান্ড্রুস বলেন, ‘যারা গ্রামে বাস করছে, তাদেরও ঘেরাও করে রাখা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘মানুষগুলো নিজ গ্রামে বন্দী হয়ে আছে। তাদের বলতে গেলে কোনো অধিকার নেই। এই অবস্থার মধ্যে বসবাস করা খুব, খুব যন্ত্রণাদায়ক।’

প্রসঙ্গত: হাজার বছর ধরে রোহিঙ্গারা সেখানে বংশপরস্পরায় বসবাস করছে এবং তাদের বেশির ভাগই উপমহাদেশ এবং আরব দেশ থেকে সেখানে  বসতি স্থাপন করে। দেশটির ব্যবসা বাণিজ্য কৃষি উৎপাদন এবং আমদানী রপ্তানী কাজে তাদের যথেষ্ট অবদান রয়েছে।  যদিও মিয়ানমার ভাষার নাম ও পরিচয় ধারণ করে সেখানে সব কাজ করতে হয় জানিয়েছেন রোহিঙ্গারা।

বিএনএনিউজ২৪,জিএন

Loading


শিরোনাম বিএনএ