16 C
আবহাওয়া
৭:২৩ পূর্বাহ্ণ - ডিসেম্বর ২৪, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » হল চালু বন্ধ ক্যান্টিন, রমজানে ভোগান্তিতে ববি শিক্ষার্থীরা

হল চালু বন্ধ ক্যান্টিন, রমজানে ভোগান্তিতে ববি শিক্ষার্থীরা

১৯ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে ববি

বিএনএ, ববি : ঈদের ছুটিতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) আবাসিক হলগুলো বন্ধ হওয়ার আগেই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে হল ক্যান্টিন। এতে রমজানে খাবার নিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন আবাসিক শিক্ষার্থীরা। হল ক্যান্টিন বন্ধ থাকায় বাইরের দোকানগুলোতে চড়া মূল্যে খাবার খেতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আগামী ৫ই এপ্রিল বন্ধ হচ্ছে আবাসিক হলগুলো কিন্তু এর আগেই ৩১ মার্চ থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’টি ছাত্র হল বঙ্গবন্ধু  ও শেরে বাংলা হলের  ক্যান্টিন বন্ধ রয়েছে। কিন্তু দু’টি ছাত্রী হলের ক্যান্টিন চালু রয়েছে।

বঙ্গবন্ধু হল ক্যান্টিন পরিচালক ১৫ দিন আগেই প্রভোস্টকে ক্যান্টিন ছাড়বেন বলে জানান। সেই অনুয়ায়ী মার্চে তারা হল ক্যন্টিন ত্যাগ করেন। কিন্তু হল কর্তৃপক্ষ ক্যান্টিন চালু রাখতে কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেননি। এতে হল ক্যান্টিনটি বন্ধ রয়েছে বর্তমান। অপরদিকে শেরে বাংলা হল ক্যান্টিনের খাবারের মান নিম্নমানের হওয়ায় শিক্ষার্থীরা ক্যান্টিনের খাবার খান না। তাই শেরে বাংলা হলের ক্যান্টিনও বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছেন ক্যান্টিন পরিচালক।

শেরে বাংলা হলের প্রভোস্ট ড. মোহাম্মদ আবদুল বাতেন চৌধুরী  বলেন, শেরে বাংলা হল ক্যান্টিন বন্ধ রাখা হয়নি, শিক্ষার্থীরা ক্যান্টিনে খেতে আসেন না। আমাদের ক্যান্টিন পরিচালকেরা সেহেরির খাবারের টোকেন বিক্রির জন্য রাত ১১ টা পর্যন্ত ক্যান্টিনে থাকলেও কোন টোকেন বিক্রি হয়নি। ক্যান্টিন ৩১ তারিখ থেকে আপাতত অফ কিন্তু  শিক্ষার্থীরা ক্যান্টিনে খেতে চাইলে চালু থাকবে ক্যান্টিন বলে জানান তিনি।

ছাত্র হল ক্যান্টিন দুটির এই অবস্থায় রমজানে সেহেরি ও রাতের খাবারের জন্য শিক্ষার্থীদেরকে বাধ্য হয়েই যেতে হচ্ছে বাইরের দোকানগুলোতে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে কোন দোকান না থাকায় ভোলারোডের দোকানগুলোতে চড়ামূল্যে খাবারই একমাত্র ভরসা শিক্ষার্থীদের।

শেরে বাংলা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আসিফ বলেন, শেরে বাংলা হল ক্যান্টিনের খাবার খেয়ে রমজান রোজা রাখা কষ্টকর। শিক্ষার্থীরা এক প্রকার বাধ্য হয়েই হল ক্যান্টিনের খাবার বর্জন করেছেন।

বঙ্গবন্ধু হলের ১০জনের অধিক আবাসিক শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে জানা যায়, ক্যাম্পাস ছুটি হলেও অনেকের পরীক্ষা থাকায় ৪ এপ্রিল পর্যন্ত তারা হলে অবস্থান করবেন। কিন্তু পরীক্ষার এই সময়ে হলক্যান্টিনগুলো বন্ধ করে দেয়ায় বিপাকে পড়েছেন তারা। শেরে বাংলা হলের শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, খাবারের মান ভালো না হওয়ায় তারা হলক্যান্টিনে খাবার খান না।

শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা এখন কম শিক্ষার্থী থাকায় ক্যান্টিন পরিচালকেরা ক্যান্টিন বন্ধ করে দিয়েছেন৷ অল্প শিক্ষার্থীদের জন্য ক্যান্টিন চালু রাখলে তাদের লাভ কম হয় এজন্য। তারা বাইরের ব্যবসায়ীদের মত আচারণ করছে বলেও অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।

বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মিলন বলেন, টিউশন ও বিভিন্ন কাজ থাকায় হল খোলা থাকা পর্যন্ত হলে অবস্থা করতে হচ্ছে। তবে হঠাৎ করে ক্যান্টিন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় খাবার দাবার নিয়ে ব্যাপক সমস্যায় আছি।

বাহিরে গিয়ে ইফতার, রাতের খাবার ও সেহরি খেয়ে রোজা রাখা অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। এই ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

বঙ্গবন্ধু হলের ক্যান্টিন পরিচালক সাকিব বলেন, আমরা প্রভোস্টকে ১৫ দিন আগে বলেই ক্যান্টিন ছেড়ে দিয়েছি। আমরা এখন ক্যান্টিন পরিচালনায় নেই।

এই বিষয়ে বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট মো. আরিফ হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থী কম হওয়ায় ক্যান্টিন বন্ধ রাখা হয়েছে। অল্প কয়েকজন শিক্ষার্থী দিয়ে চলতে গেলে লোকসান হয় ক্যান্টিন পরিচালকদের। আমাদেরতো ওদের কথাও ভাবতে হবে। ঈদের ছুটির পরে ক্যান্টি চালু হবে বলে জানান তিনি। তবে ক্যান্টিন পরিচালকদের হল ক্যান্টিন ছাড়ার বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।

বিএনএ/ রবিউল/এইচ.এম/এইচমুন্নী

Loading


শিরোনাম বিএনএ