বিএনএ, ঢাকা : চট্টগ্রাম বিভাগের ৫ জেলার দাগ, খতিয়ানসহ সকল পাহাড়ের তালিকা এবং পাহাড়ের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে আজ প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। জেলাগুলো হলো-চট্রগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি এবং খাগড়াছড়ি।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) আনা একটি আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি মাহমুদুল হক এবং বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদার সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ তিন মাসের মধ্যে এ প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এস. হাসানুল বান্না।
আদেশের পর বেলার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আদালত ২০১২ সালের ১৯ মার্চের (রিট পিটিশন নং ৭৬১৬/২০১১) দেয়া রায়ের আলোকে পাহাড় কাটা রোধে সরকারের সংস্থাগুলো কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে, সে বিষয়ে প্রতিবেদন প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন।
চট্রগ্রাম বিভাগের ওই জেলাগুলোর সর্বশেষ বিদ্যমান পাহাড়গুলোকে আরও ক্ষতি, ধ্বংস ও কর্তন থেকে রক্ষার জন্য সকল প্রয়োজনীয় ও কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া এবং পাহাড় ও টিলায় পাহাড় কাটা বিষয়ে আদালতের যে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, তা প্রতিটি পাহাড়ে প্রদর্শন করতে নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়াও ইতোমধ্যে কাটা হয়েছে এমন পাহাড়গুলোতে দেশীয় প্রজাতির বৃক্ষরোপণ এবং দেয়াল দিয়ে সুরক্ষিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বিবাদীরা (রেসপনডেন্ট) হলেন-মেয়র, চট্রগ্রাম সিটি কর্পোরেশন; সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়; সচিব, ভূমি মন্ত্রণালয়; সচিব, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়; বিভাগীয় কমিশনার, চট্রগ্রাম; চেয়ারম্যান, সিডিএ; মহাপরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তর; জেলা প্রশাসক, চট্রগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি; পুলিশ কমিশনার, চট্রগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ এবং পরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তর চট্রগ্রাম।
বিএনএনিউজ/এইচ.এম।