25 C
আবহাওয়া
৭:২৬ অপরাহ্ণ - ডিসেম্বর ২৪, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর মৃত্যু : ধর্ষণের আলামত মেলেনি

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর মৃত্যু : ধর্ষণের আলামত মেলেনি

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর মৃত্যু : জোরপূর্বক ধর্ষণের আলামত মেলেনি

বিএনএ, ঢাকা : রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় ইউল্যাবের শিক্ষার্থীকে বল প্রয়োগের মাধ্যমে যৌন সংসর্গে বাধ্য করার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ। 

সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ফরেনসিক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সেলিম রেজা বলেন, রোববার ওই শিক্ষার্থীর মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ধর্ষণের যে অভিযোগ উঠেছে তার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। এরপরেও যেহেতু অভিযোগ উঠেছে সেহেতু তার ভ্যাজাইনাল সোয়াব সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে ডিএনএ এবং অন্যান্য নমুনা নিয়ে ভিসেরা টেস্টের জন্য সংগ্রহ করা হয়েছে। ওগুলো ল্যাবে পাঠানো হবে। 

তিনি বলেন, মদ্যপান, যৌন উত্তেজক বা অন্য কোনও কিছু খেয়ে ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে কি না সেটা জানতে ক্যামিক্যাল টেস্টের জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর বাইরে কিডনির নমুনাও সংগ্রহ করা হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। 

এদিকে ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় দুজনকে খুঁজছে পুলিশ। তারা ঘটনার দিন উত্তরার ব্যম্বু স্যুট রেস্টুরেন্টে একসঙ্গে মদ্যপান করেছিলেন। পুলিশ বলছে, তাদের পাওয়া গেলে ঘটনার রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে।

জানা গেছে, গত ২৮ জানুয়ারি ইউল্যাবের ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তার বয়ফ্রেন্ড মর্তুজা রায়হান চৌধুরী ও তাদের পরিচিত আরাফাতসহ উত্তরার ওই রেস্টুরেন্টে যান। সেখানে আরাফাতের পূর্ব পরিচিত দুজন আগে থেকেই মদ নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন। সেখানে তারা মোট ৫ জন একত্রে মদ পান করেন। পরে তাদের মধ্যে দুজন নিজেদের মতো করে চলে যান। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী, রায়হান ও আরাফাত একসঙ্গে উবারে রওনা হন। আরাফাত গুলশানে নেমে যান। রায়হান ও ভিকটিম লালমাটিয়া হয়ে মোহাম্মদপুরের মোহাম্মদী হোমস এলাকায় ইউল্যাবের আরেক শিক্ষার্থীর বাসায় যান। ওই বাসায় রায়হান ভিটটিমের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন। তারা শুক্রবার সারাদিন ওই বাসায় অবস্থান করেন। শুক্রবার রাতে ভিকটিম টানা বমি করতে থাকেন। বন্ধ না হলে রায়হান তার পরিচিত বন্ধু ইউল্যাবের শিক্ষার্থী ও তার বড়ভাইয়ে সহায়তায় মাধুরীকে প্রথমে কল্যানপুরে ইবনেসিনা হাসপাতাল ও পরে আনোয়ার খান মর্ডান মেডিকেলে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী গত রোববার সকালে মারা যান। 

শনিবার ওই শিক্ষার্থীর অসুস্থতার কথা পরিবারকে জানান রায়হান। খবর পেয়ে শিক্ষার্থীর বাবা চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় আসেন এবং রোববার ভোরে মোহাম্মদপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা (নং- ১১৫) করেন। ওই সময় ওই শিক্ষার্থী আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মামলার এজাহারে থাকা তিন নম্বর আসামি আরাফাত শনিবার রাজধানীর সিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

পুলিশ বলছে, এ ঘটনায় অভিযুক্ত অপর দুজনকে খোঁজা হচ্ছে। তাদের গ্রেপ্তার করতে পারলে ঘটনার রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে। এছাড়া ঘটনার দিন রেস্টুরেন্টের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহের চেষ্টা করা হচ্ছে।

বিএনএনিউজ/ এসকেকে/ এইচ.এম।

Loading


শিরোনাম বিএনএ