বিএনএ,জামালপুর : পুরনো কারাগারের প্রশাসনিক ভবন, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের আবাসন সুবিধা, নারী, পুরুষ ও কিশোর বন্দিদের ওয়ার্ড নির্মাণসহ ২১০ কোটি টাকা ব্যয়ে অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন জামালপুর জেলা কারাগার পুনঃনির্মাণ প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে।
শনিবার (১ জানুয়ারি) সকালে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামালপুর সদর আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোজাফফর হোসেন, জামালপুর পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন ছানু।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এমপি বলেছেন, ব্রিটিশ আমলে গড়া পুরনো জরাজীর্ণ কারাগারটি ৬তলা বিশিষ্ট আধুনিক ভবন নির্মিত হতে যাচ্ছে।থাকছে অত্যাধুনিক সব সুযোগ সুবিধা। প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে কারাগার আর কারাগার থাকবেনা বন্দি সংশোধনের পাঠশালায় পরিনত হবে।
জামালপুর জেলা কারাগারের জেল সুপার আবু ফাত্তাহ বলেন, মেয়াদ উত্তীর্ণ ঝুকিপুর্ণ ভবনে বন্দীরা জীবনেব ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে তেমনি আমরাও ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করেছি। পুণ:নির্মাণ প্রকল্পটি শেষ হলে অত্যাধুনিক কারাগারে বন্দিদের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাগব হবে। তিনি আরো বলেন, প্রস্তাবিত নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে জামালপুর কারাগারের পুরাতন অবকাঠামো কিছুই থাকবে না। সবকিছুই হবে নতুন করে। পাল্টে যাবে জামালপুর জেলা কারাগারের চিত্র।
উল্লেখ্য, ২১০ কোটি টাকা ব্যয়ে জামালপুর জেলা কারাগার পুনঃনির্মাণ প্রকল্পে গৃহায়ন ও গণপুর্ত মন্ত্রনালয়ের স্থাপত্য অধিদপ্তরের নকশায় ভূমি উন্নয়ন, বিচারাধীন ও সাজাপ্রাপ্ত বন্দি ব্যারাক (পুরুষ) নির্মাণ, পুরুষ শ্রেণিপ্রাপ্ত বন্দি ও কিশোর বন্দি ওয়ার্ড নির্মাণ, পুরুষ বন্দি হাসপাতাল, মানসিকভাবে অসুস্থ বন্দি ওয়ার্ড, মা বন্দিদের জন্য ওয়ার্ড ও শিশুদের ডে-কেয়ার সেন্টার, মহিলা বন্দিদের ওয়ার্কশেড ও বিনোদন সেন্টার, মহিলা জেল স্কুল, মহিলা শ্রেণিপ্রাপ্ত ও কিশোরী বন্দি ওয়ার্ড, মহিলা বন্দি সেল, সাক্ষাতকার ব্লক, প্রশাসনিক ভবন, ব্যাচেলর অফিসার্স কোয়াটার, ৮০০ বর্গফুট আয়তনের একটি এবং ৬৫০ বর্গফুট আয়তনের দুটি আবাসিক কোয়াটার নির্মাণ, ওয়ার্কশেড, স্টোর, লন্ড্রি এবং সেলুন, দর্শনার্থীদের অপেক্ষাগার, এমআই ইউনিটসহ ৭৫ জনের পুরুষ ব্যারাক ভবন, সীমানা প্রাচীর, পেরিমিটার দেয়াল, সেগ্রিগেশন দেয়াল, আরসিসি ওয়াকওয়ে, পাম্প হাউজ, ক্যান্টিন, প্যারেড গ্রাউন্ডসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ এবং সোয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (এসটিপি), পুকুর খনন, লিফট, সৌরবিদ্যুৎ, বনায়ন, যানবাহন ক্রয়, আসবাবপত্র ক্রয়, জেল হাসপাতাল ও নিরাপত্তা সরঞ্জামাদি, অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রপাতি, বহির্বিভাগের চারদিকে বিদ্যুতায়ন, বাইরে পানি সরবরাহ, অন্যান্য অফিস সরঞ্জামাদি, জেনারেটর, বৈদ্যুতিক সাব-স্টেশন স্থাপন করা হবে।
বিএনএনিউজ২৪.কম/এম শাহীন আল আমীন/এনএএম
